-
- সারাদেশে
- টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুরে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত,৩ দিন যাবৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
- আপডেট সময় June, 27, 2020, 5:21 pm
- 357 বার পড়া হয়েছে
কামাল হোসেন,তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় গত ৩ দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুরের ৭টি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে বড় আকারের বন্যার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।সাথে সাথে গত ৩ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। একদিকে প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এখন আবার গত ৩ দিনের টানা বর্ষণে বড় বিপাকে পড়েছে কার্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের মানুষ । তাছাড়া ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদী, হাওর-বাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার রাস্তাঘাট প্লাবিত হচ্ছে এতে করে উপজেলার সাথে ৭টি ইউনিয়নের আন্তঃসড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক লোকজন।
এদিকে যাদুকাটা, পাঠলাই, বৌলাই ও রক্তি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়িসহ হাটবাজার গুলোতে পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল। এতে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বাদাঘাট- সোহালা, বাদাঘাট সুনামগঞ্জ সড়কের দীঘির পাড়া এলাকার পানির নিচে। অপরদিকে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর সেতুর পূর্বাংশের এপ্রোচ নির্মাণাধীন সড়কটি ৩ ফুট পানির নীচে থাকায় জেলা সদরের সাথে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।বিশ্বম্ভপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা ১০০ ব্রীজ সংলগ্ন সুনামগঞ্জ সড়ক – দুর্গাপুর এলাকা। পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলার অনেক পুকুর ও জলাশয়ের মাছ ভেসে গিয়েছে অপরদিকে গত ৩দিনেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎবিহীন থাকায় বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন কারখানার মালিকসহ সাধারণ লোকজন।বাদাঘাট(উ.) ইউনিয়নের সোহালা গ্রামের বাসিন্দা কৃষি উদ্যোক্তা হোসেন রাজা বলেন, আমার কৃষি জমি ও বাগানে পানি প্রবেশ করায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে, পুকুরের অনেক মাছ ভেসে গিয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানান, পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বৃষ্টিপাতে উপজেলার ২টি ইউনিয়নের আংশিক ও বাকি৫টি ইউনিয়নে অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উদ্ভুত বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১৯০ মি. মি. ও গত ৪ দিনে ৪ শত ৮৩ মি.মি. রেকড করা হয়েছে। এবং সুরমা নদীর পানি ৬৬ সে. মি. এ তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীর পানি ১৭৪ সে. মি. বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হিচ্ছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৭ জুন ২০২০ /ইকবাল
এ জাতীয় আরো খবর